দ্রুত বীর্যপাত রোধের ঔষধ
দ্রুত বীর্যপাত থেকে চিরস্থায়ী চিকিৎসার জন্য কিছু ওষুধ রয়েছে। এই ওষুধগুলি দ্রুত বীর্যপাতের কারণগুলির উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয়।
দ্রুত বীর্যপাতের প্রধান কারণগুলি হল:
- মানসিক চাপ
- হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
- স্নায়বিক সমস্যা
- ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
মানসিক চাপ এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে দ্রুত বীর্যপাত হলে, সেক্ষেত্রে মনোচিকিৎসা এবং হরমোন থেরাপির মাধ্যমে চিকিত্সা করা যেতে পারে। স্নায়বিক সমস্যার কারণে দ্রুত বীর্যপাত হলে, সেক্ষেত্রে স্নায়ুবিজ্ঞানের চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে দ্রুত বীর্যপাত হলে, সেক্ষেত্রে সেই ওষুধটি বন্ধ করলে সমস্যাটি সমাধান হতে পারে।
দ্রুত বীর্যপাতের জন্য কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ হল:
- সিপ্রোহেপটাদিন (সিপ্রোহেপ্ট)
- ডেক্সামিথাজোইন (ডেক্সামেট)
- ট্রাইসাইক্লিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস (অ্যামিট্রিপটাইলিন, ইমিপ্রামিন, নর্থিয়াজিডাইন)
- সিলেক্টিভ সেরোটোনিন রিআপটেক ইনহিবিটর (এসএসআরআই) (ফ্লুক্সেটাইন, পারোক্সেটিন, সের্ট্রালিন)
- সেরোটোনিন-নরপাইনফ্রাইন রিআপটেক ইনহিবিটর (এসএসএনআরআই) (ডালফোস্পাইন, ভেনালাফ্যাক্সিন)
এই ওষুধগুলি সাধারণত দ্রুত বীর্যপাতের তীব্রতা কমাতে এবং যৌনসঙ্গমকালীন সময় বাড়াতে সাহায্য করে। তবে, এই ওষুধগুলির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে, যেমন:
- মাথাব্যথা
- বমি বমি ভাব
- বমি
- পেট ব্যথা
- ঝাপসা দৃষ্টি
- শুষ্ক মুখ
- ঘুমের সমস্যা
- যৌন ইচ্ছা হ্রাস
দ্রুত বীর্যপাতের জন্য ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডাক্তার আপনার অবস্থার কারণ এবং আপনার জন্য কোন ওষুধটি সবচেয়ে উপযুক্ত তা নির্ধারণ করতে পারবেন।
দ্রুত বীর্যপাতের জন্য কিছু প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতিও রয়েছে। এই পদ্ধতিগুলির মধ্যে রয়েছে:
- যোগব্যায়াম
- ধ্যান
- রিলাক্সেশন কৌশল
- যৌন শিক্ষা
এই পদ্ধতিগুলি দ্রুত বীর্যপাতের কারণগুলি সমাধান করতে এবং যৌন জীবনের মান উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
প্রথমত দ্রুত বীর্যপাত রোধের জন্য আপনি কিছু সেক্সের সময় কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। যেমন-
- কৌশল 1: পুরুষরা দ্রুত উত্তেজিত হয় এবং দ্রুত বীর্যপাত হয়। তাই, প্রথমে আপনার সঙ্গীকে চরম পর্যায়ে নিয়ে যান। সেক্স করার আগে, আপনার হাত বা লিঙ্গ দিয়ে নারীর যোনীতে অনুমান করুন। নারীর যোনি রসে ভরে গেলে সহবাস শুরু করুন।
- কৌশল-2ঃ একটানা পনের কাঁচা রসুনের কোয়া খান তিনবেলা। এই সময় সেক্স করবেন না। তবে পুরুষাঙ্গ সবসময় সেক্সের জন্য সায় দিতে থাকবে। ১৫ দিন পর থেকে সেক্স শুরু করুন। গ্যারান্টি ৩০ মিনিটের আগে বীর্যপাত ঘটবে না। যদি ঘটেও যায় তারপরে ৩০/৪০ মিনিট লিঙ্গ শক্ত হয়ে থাকবে।
- কৌশল-3ঃ সেক্স শুরু করুন। স্টাইল পরিবর্তন করুন কিছুক্ষণ পর পর। মাঝে মাঝে কোমর সঞ্চালন বন্ধ করুন। আপনার সঙ্গীনীকে জিজ্ঞাসা করুন কেমন লাগছে, তার সাথে কথা বলুন, তবে বুঝতে দিবেন না আপনি সময় পার করছেন, আপনি কথার জালে কিছুক্ষণ সময় নিবেন,, তবে পুরুষাঙ্গ যোনীতেই রাখবেন।
- কৌশল-4ঃ মনে হচ্ছে এখন বীর্যপাত ঘটতে পারে। তখন লিঙ্গ বের করুন। সঙ্গীনিকে বুঝতে দিবেন না। তার সাথে রোমাঞ্চ করুন। যেন মন অন্য দিকে যায়। দেখন লিঙ্গ একটু শিতল হচ্ছে। তখন আবার সেক্স শুরু করুন। দেখন পুনরায় নতুন করে সময় পাবেন।
- কৌশল-5ঃ যদি সামান্য বীর্যপাত ঘটে, তাহলে সেক্স বন্ধ করুন। হাত দিয়ে বীর্যপাত ঘটাবেন না। যতটুকু বীর্য বের হওয়ার হবে, তবে কিছু থেকে যাবে, যদি হাত না দেন,, বা ঘষাঘষি না করেন তাহলে বীর্য থেকেই যাবে। একটু পরে আবার সেক্স করুন,, প্রথমে লিঙ্গ হালনা নিস্তেজ এর মতো থাকবে। কিন্তু একটু পরেই শক্ত হবে। আর সহজে বীর্যপাত ঘটবে না,, আপনি চাইলেও বীর্যপাত ঘটাতে পারবে না।
- কৌশল-6ঃ বীর্যপাতের ১৫ মিনিট পরেই লিঙ্গ পুনরায় শক্ত হতে পারে ও নতুন বীর্যশুরু হতে থাকে। অর্থাৎ সেক্সের আগে সামান্য বীর্যপাত করে নিবেন। তার ২০.৩০ মিনিট পর সেক্স শুরু করুন। চাইলেও দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারবেন না।
এরপরেও যদি মনে করেন ডাক্তারের সাথে কথা বলতে হবে,, তাহলে সরাসরি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে কথা বলতে পারবেন ।
Tags:
যৌন স্বাস্থ্য