একই সাথে ৩ ধরনের রসমালাই রেসিপি
🎀গুড়ো দুধের রসমালাই🎀
......রেসিপি....
যা যা প্রয়োজনঃ--
★গুড়া দুধ-১কাপ।
★বেকিং পাউডার -হাফ চা চামুচ।
★ঘি-১চা চামুচ।
সব একসাথে করে মিশিয়ে মাখিয়ে সাথে ১টা ফেটানো ডিম দিয়ে ভালো ভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। মাখানোর পর নরম আঠালো একটা খামির হবে। এক টা ফেটানো ডিম দেয়ার পর যদি খামিরটা নরম না হয় তাহলে সামান্য তরল দুধ সাথে দিয়ে মাখিয়ে খামিরটা নরম করে নিতে হবে।খামিরটা ঢেকে রাখতে হবে ১০মিনিট।
১লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। সাথে এলাচ২/৩টা,চিনি-২টে চামুচ, কনডেন্স মিল্ক- হাফ কাপ দিয়ে দিতে হবে।
বানিয়ে রাখা দুধের খামিরটা দিয়ে নিজের পছন্দ মত সেপে রসমালাই গুলো বানিয়ে নিতে হবে। রসমালাই বানানোর সময় হাতের তালু তে সামান্য ঘি মাখিয়ে নিলে হাতে লেগে যাবে না।গোল/লম্বাটে সেপের করে রসমালাই বানিয়ে নিতে হবে।
দুধ জ্বাল দিয়ে যখন শুকিয়ে অর্ধেক হয়ে যাবে তখন এর মধ্যে হাফ কাপ গুড়ো দুধ গুলিয়ে দিতে হবে। তাহলে দুধটা বেশ ঘন হবে। ফুটতে থাকা দুধের মধ্যে বানিয়ে রাখা রসমালাই গুলো দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ৫/৭মিনিট পর ঢাকনা সরিয়ে খুব সাবধানে মিস্টি গুলো নেড়ে আবার ঢেকে দিতে হবে। ১৫ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে ঢেকে রাখতে হবে ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত। রসমালাই গুলো ফুলে দ্বিগুন হয়ে যাবে দুধে দেয়ার সাথে সাথেই।
তৈরি হয়ে গেল--গুড়ো দুধের রসমালাই।
★দুধের খামির করার সময় ডিম দিয়ে না করে ডিমের পরিবর্তে তরল দুধ দিয়ে ও করা যাবে।ডিমটা দিলে বাইন্ডিং এর কাজ করবে।
🎀গাজরের রসমালাই🎀
........রেসিপি.........
যা যা যেভাবে করতে হবে ঃ--
★গাজর-৪টা।(বড় সাইজের)খোসা ছাড়িয়ে ছোট টুকরো করে সাথে এক কাপ তরল দুধ দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
একটি আলাদা পাত্রে এক টেবিল চামচ মিশ্রিত গাজরের পেস্ট রাখুন।
এবার চুলায় প্যান বসিয়ে তাতে দিতে হবে ব্লেন্ড করা গাজরের পেস্ট। সাথে এক কাপ তরল দুধ। মাঝারি আচে ৪/৫মিনিট নেড়ে নিলেই গাজরের দুধ শুকিয়ে গাজর অনেকটাই শুকিয়ে আসবে। তখনই তাতে দিয়ে দিতে হবে-
★সুজি-হাফ কাপ।
★চিনি-২টে চামুচ।
★তরল দুধ-হাফ কাপ।
নাড়তে হবে অনবরত। নাড়তে নাড়তে যখন প্যানের গা ছেড়ে আসবে তখনই চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে।
এটি কিছুটা ঠান্ডা হওয়ার পরে, গাজর সুজির মিশ্রন অল্প করে হাতে নিয়ে হাতের তালুতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে রসমালাই এর সাইজে মিস্টি গুলো বানিয়ে নিতে হবে।
সবগুলো মিস্টি একইভাবে বানিয়ে নিতে হবে। বানানো এই মিস্টি গুলো এবার ভাপ দিয়ে নিতে হবে ১০/১২মিনিটের মতো।
চুলায় পয়ান বসিয়ে তাতে দিতে হবে-
★তরল দুধ-৩ কাপ।
দুধ গরম হলে তাতে দিয়ে দিতে হবে-
★গুড়ো দুধ-হাফ কাপ।
★চিনি-হাফ কাপ।
★আগে থেকে রেখে দেয়া গাজরের পেস্ট-১টে চামুচ।
★এলাচ-৩/৪টা।
ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে। রসমালাই বানানোর জন্য দুধ খুব বেশি ঘন হওয়ার দরকার নাই।
দুধ ২/১বার ফুটে উঠলেই তাতে দিয়ে দিতে হবে বানিয়ে ভাপ দিয়ে রাখা গাজরের মিস্টি গুলো।
মিস্টি গুলো দেয়ার পর দুধ জ্বাল করতে হবে ৫/৬মিনিট।
★২টে চামুচ বাদাম কুচি
ছড়িয়ে দিয়ে মিস্টি গুলো হালকা হাতে নেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে। ঢেকে রেখে দিতে হবে পুরো পুরি ঠান্ডা হয়ে সেট হওয়ার জন্য। ঠান্ডা হলেই পরিবেশনের জন্য তৈরি হয়ে যাবে-গাজরের রসমালাই।
যা যা লাগবে এবং যেভাবে করতে হবে ঃ--
★পাউরুটি-৮পিস।পাউরুটির চারপাশের লাল অংশ ফেলে দিয়ে ছোট টুকরো করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
চুলায় প্যান বসিয়ে তাতে দিতে হবে-
★তরল দুধ-১কাপ।
★চিনি-২টে চামুচ।
★ঘি-১টে চামুচ।
২/১বার ফুটে উঠলেই তাতে দিয়ে দিতে হবে ব্লেন্ড করে রাখা পাউরুটির গুড়া।
অল্প আচে নেড়ে নেড়ে নরম একটা ডো বানিয়ে নিতে হবে। ২/১বার নাড়ার পরই পাউরুটি সব দুধ শুষে নিবে। তখনই চুলা থেকে নামিয়ে প্লেটে/বাটিতে ঢেলে নিতে হবে। ঠান্ডা হলে এই ডো এর সাথে দিতে হবে-
★গুড়া দুধ-হাফ কাপ।
★ঘি-১চা চামুচ।
খুব ভালো ভাবে মাখিয়ে নিতে হবে যাতে গুড়া দুধ ভালো ভাবে মিশে যায়।
মাখানো হয়ে গেলে এবার অল্প একটু করে পাউরুটির ডো নিয়ে হাতের তালুতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গোল অথবা একটু লম্বাটে সেপের করে রসমালাই এর মিস্টি গুলো বানিয়ে নিতে হবে।
আগে থেকেই দেড় লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে বেশ ঘন করে নিতে হবে। দুধের সাথে দিতে হবে-
★গুড়া দুধ-হাফ কাপ।
★এলাচ গুড়া-হাফ চা চামুচ/এলাচ ৪/৫টা।
★চিনি-হাফ কাপ/নিজের স্বাদ অনুযায়ী।
দুধটা বেশ ঘন হয়ে গেলে তখনই দিয়ে দিতে হবে বানিয়ে রাখা পাউরুটির মিস্টি গুলো।
৫/৭মিনিট জ্বাল করার পরই দুধ অনেকটাই ঘন হয়ে মাখা মাখা হয়ে আসবে তখনই চুলা থেকে নামিয়ে সার্ভিং ডিশে ঢেলে নিতে হবে। দুধের মালাই টা একটু দেখে বুঝে নামাতে হবে।কারন ঠান্ডা হলে দুধের এই মালাই আরও ঘন হয়ে যাবে।
ঠান্ডা হয়ে গেলেই পরিবেশনের জন্য তৈরি হয়ে যাবে-পাউরুটির রসমালাই।
★রসমালাই এর মিস্টি বানানোর জন্য পাউরুটির গুড়া দুধে দিয়ে সেদ্ধ না করে পাউরুটির গুড়ার সাথে পরিমাণ মতো তরল দুধ গুড়া দুধ ঘি চিনির গুড়া দিয়ে মাখিয়ে ও ডো বানিয়ে নেয়া যাবে।
মাখানোর সময় চাইলে ডিম দেয়া ও যাবে আবার না দিলে ও হবে।যার যেভাবে পছন্দ অথবা যার যেভাবে সুবিধা। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন। ধন্যবাদ।