চারটি ভিন্ন স্বাদের মজাদার মিষ্টান্ন

 চারটি ভিন্ন স্বাদের মজাদার মিষ্টান্ন


আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি চারটি ভিন্ন স্বাদের মজাদার মিষ্টান্ন রেসিপি।

আসুন তবে এক নজরে দেখে নেই_


🎀পাখির বাসা সন্দেশ🎀



.....রেসিপি.......

পাখির বাসা তৈরি করতে যা লাগবে -

★লাল কুলসুম সেমাই এক প্যাকেট (২০০গ্রাম)সেমাই গুলো ভেঙে ছোট টুকরো করে নিতে হবে। 

★কনডেন্স মিল্ক-১কাপ

★ঘি-৪টে চামচ 

★ পেস্তা বাদাম কুচি-২টে চামচ 

★কাজু বাদাম কুচি-২টে চামচ 

যেভাবে করতে হবেঃ-

চুলায় প্যান বসিয়ে তাতে দিতে হবে ঘি। ঘি গরম হলে তাতে সেমাই দিয়ে নাড়তে হবে। চুলার আচ কমিয়ে সেমাইগুলো ভেজে নিতে হবে। সেমাই ভাজা হলে এবার সেমাই এর সাথে কনডেন্স মিল্ক এবং বাদাম কুচি দিয়ে নাড়তে হবে। অল্প সময় নাড়ার পরই সেমাই সামান্য আঠালো হয়ে আসবে তখনই চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে। প্যান কেক বানানোর কেকের মোল্ডে ঘি ব্রাশ করে তাতে গরম সেমাই পরিমাণ মত দিয়ে আঙুল দিয়ে চেপে চেপে পাখির বাসার সেপে বানিয়ে নিতে হবে। সবগুলো বানানো হয়ে গেলে কেকের মোল্ড নরমাল ফ্রিজে রেখে দিতে হবে এক ঘন্টা সেট হওয়ার জন্য। 

এবার পাখির বাসার জন্য ডিম বানিয়ে নিতে হবেঃ-

চুলায় প্যান বসিয়ে তাতে গুড়ো দুধ -১কাপ,কনডেন্স মিল্ক-হাফ কাপ, ঘি-১টে চামচ দিয়ে নাড়তে হবে। 

অল্প সময় নাড়ার পরই দুধের মিশ্রণ বেশ ঘন এবং আঠালো হয়ে (হালুয়ার মত) প্যানের গা ছেড়ে আসবে তখনই চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে। অল্প ঠান্ডা হলে হাতে ঘি মাখিয়ে অল্প অল্প দুধের মিশ্রণ নিয়ে ছোট ছোট ডিমের সেপে ডিম বানিয়ে নিতে হবে। ফ্রিজ থেকে  কেকের মোল্ড নামিয়ে চামচ/চাকুর মাথা দিয়ে খোচা দিলেই খুব সহজেই পাখির বাসা বের হয়ে আসবে।

সবগুলো পাখির বাসা প্লেটে নিয়ে সাজিয়ে তার মধ্যে ২/৩টা করে দুধ দিয়ে বানানো ডিম দিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে-

---পাখির বাসা সন্দেশ---


🎀আপেল সন্দেশ🎀



.....রেসিপি....... 

উপকরণ ঃ-- 

★ছানা-২কাপ।

★ঘি-২টে চামুচ। 

★গুড়ো দুধ-পোনে এক কাপ।

★তরল দুধ-হাফ কাপ।

★চিনি-২টে চামুচ। 

★লবংগ-পরিমান মতো।

★লাল ফুড কালার-সামান্য।

যেভাবে করতে হবে ঃ-- 

হাত দিয়ে ছানাটাকে ভালো ভাবে মাখিয়ে/মথে নিতে হবে। চুলায় প্যান বসিয়ে তাতে ঘি দিতে হবে। ঘি গরম হলে তাতে ছানা,গুড়ো দুধ,তরল দুধ,চিনি দিয়ে নাড়তে হবে। অল্প আচে নাড়তে হবে অনবরত। অল্প সময় নাড়ার পরই ছানার মিশ্রন ঘন এবং আঠালো হয়ে প্যানের গা ছেড়ে আসবে তখনই চুলা থেকে নামিয়ে একটা প্লেটে নিয়ে নিতে হবে। 

অল্প ঠান্ডা হলে ছানাটাকে ভালো ভাবে মাখিয়ে একটা ডো তৈরি করে নিতে হবে। 

এবার অল্প অল্প ডো নিয়ে গোল আপেলের মতো সেপ দিয়ে আপেল সন্দেশ গুলো বানিয়ে নিতে হবে। সবগুলো একইভাবে বানিয়ে নিতে হবে। সবগুলো আপেলের উপরে একটা আংগুল দিয়ে হালকা একটু চাপ দিয়ে অল্প গর্ত করে দিতে হবে। গর্তের উপরে একটি করে লবংগ গেথে দিতে হবে আপেলের বোটার মতো করে। হাতের তালুতে একটা আপেল নিয়ে ছোট ব্রাশ দিয়ে আপেলটাকে রং করে নিতে হবে। 

ফুড কালারের সাথে ৩/৪ফোটা পানি মিশিয়ে নিলে রং টা সহজেই আপেলের গায়ে লেগে যায় আবার দেখতে ও ভালো লাগবে। 

বোটার চারপাশে সামান্য ফাঁকা রেখে পুরো আপেল রং করে নিতে হবে। সবগুলো আপেল একইভাবে রং করে নিতে হবে। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে--আপেল সন্দেশ। 

#আপেল_সন্দেশ


🎀স্নোবল কাস্টার্ড🎀



........রেসিপি.......

যেভাবে করতে হবেঃ- 

ডিম-২টা ভেঙে ডিমের হলুদ অংশ এবং সাদা অংশ আলাদা করে দুটো বাটিতে নিতে হবে। 

ডিমের কুসুম এর সাথে মেশাতে হবে চিনি-হাফ কাপ,লবণ-খুব সামান্য, কর্ণ ফ্লাওয়ার-১চা চামচ,রুহ আফজাহ-১টে চামচ।চামচ দিয়ে নেড়ে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। মেশানো হয়ে গেলে এর সাথে দিতে হবে তরল দুধ -৪কাপ।আবার চামচ দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে। যাতে কর্ণ ফ্লাওয়ার দলা পাকিয়ে না থাকে। এবার এই দুধের মিশ্রণ চুলায় দিয়ে নাড়তে হবে। ২/১ বার ফুটে উঠলেই দুধটা ঘন হয়ে আসতে থাকবে তখনই চুলা থেকে দুধ নামিয়ে নিতে হবে। 

এবার ডিমের সাদা অংশকে ২ চামচ রুহ আফজাহ দিয়ে ফেটিয়ে একটি ইলেকট্রিক মিক্সার ব্যবহার করে ফেনা তৈরি করুন।

উত্তপ্ত দুধের মিশ্রণটি চুলায় রাখতে হবে, চুলার তাপ সম্পূর্ণভাবে কমিয়ে দেবে।

এবার ছোট গোল চামচ দিয়ে অল্প করে ডিমের ফোম নিয়ে চুলার উপরে রেখে দেয়া দুধের মধ্যে দিতে হবে। ফাকা ফাকা করে দিতে হবে যাতে একটার সাথে আরেকটা লেগে না যায়। দুধটা অবশ্যই ছড়ানো কড়াই/প্যানে নিতে হবে। পরিমাণমত দেয়া হয়ে গেলে চুলার আচ সামান্য বাড়িয়ে দিতে হবে। ২/১ বার ফুটে উঠলেই চুলা থেকে নামিয়ে খুব সাবধানে ছড়ানো বাটিতে ঢেলে দিতে হবে। 

চুলায় থাকা অবস্থায় চামচ দিয়ে স্নোবল নাড়া যাবে না। প্রয়োজন হলে কড়াই/প্যান ধরে নেড়ে দিতে হবে। 

কড়াইতে/প্যানে দুধটা বেশ গরম হলে স্নোবল ফুলে বড় হয়ে যাবে এবং গোল হয়ে যাবে। 

খুব সাবধানে কড়াই থেকে বাটিতে ঢালতে হবে।অথবা চামচ দিয়ে স্নোবল উঠিয়ে বাটিতে রেখে চামচ দিয়ে দুধটা স্নোবলের ফাক দিয়ে দিয়ে ঢেলে দিতে হবে। গরম দুধ স্নোবলের উপর পড়লে ফোম নেতিয়ে চুপসে যাবে।বাটিতে স্নোবল নেয়া হলে এবার উপরে পেস্তা বাদাম কুচি ছিটিয়ে পরিবেশন করুন-

-----স্নোবল কাস্টার্ড----


🎀নারকেলের লিচু 🎀



........রেসিপি........ 

#নারকেলের লিচু

# যা প্রয়োজন 

#নারকেল কোড়ানো বড় ১টা

#কনডেনসড মিল্ক ১টিন/১কৌটা

#পোস্তদানা ১কাপ

#লবংগ পরিমানমত

#যেভাবে করতে হবে ------

পোস্তদানা সমান দুই ভাগে ভাগ করে নিতে হবে, ননস্টিক প্যানে পোস্ত নিয়ে তাতে ফুড কালার লাল,সবুজ দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে/টেলে নিতে হবে।৫/৭মিনিট ভাজলেই মুচমুচে হয়ে যাবে।লাল সবুজ একইভাবে ভেজে আলাদা আলাদা বাটিতে রাখতে হবে।চুলায় প্যান বসিয়ে তাতে নারকেল কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে নাড়তে হবে। অনবরত নাড়তে হবে যাতে লেগে না  যায়। ১০/১৫মিনিট নাড়ার পর নারকেলের দুধ শুকিয়ে আঠালো হয়ে যাবে,তখনই চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে। অল্প ঠান্ডা হলেই গরম গরম নারকেল হাতে নিয়ে চেপে চেপে লিচুর সেপ দিতে হবে।নারকেল ঠান্ডা হলে জোড়া লাগবে না।সবগুলো লিচু বানানো হয়ে গেলে এবার একটা একটা লিচু নিয়ে আগে থেকে ভেজে রাখা পোস্তদানার উপর গড়িয়ে নিতে হবে। হাত দিয়ে চেপে চেপে ভালো ভাবে লিচুর গায়ে পোস্তদানা বসিয়ে দিতে হবে। এবার লিচুর উপরে একটি করে লবংগ গেঁথে  দিলেই তৈরি হয়ে যাবে দেখতে সুন্দর খেতে ও অনেক মজারএই নারকেলের লিচু।


সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন। ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন