রমজানে সুস্থ থাকার কিছু স্বাস্থ্যকর টিপস

রমজানে সুস্থ থাকার কিছু স্বাস্থ্যকর টিপস



আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি রমজানে সুস্থ থাকার কিছু স্বাস্থ্যকর টিপস।

🎀টিপস🎀

🍀ইফতার থেকে সাহরী পর্যন্ত বেশি করে পানি পান করুন।এ সময় আপনার সারাদিনের পানির ঘাটতি পূরন করতে হবে।

তাই সরবত, ডাবের পানি , লেবুর শরবত পান করুন।মনে রাখবেন পানি একমাএ মেডিসিন যা আপনার অনেক রোগ যেমন -মাথা ব্যাথা , শরীরে জ্বালা পোড়া ওঘুম কম হওয়া ,প্রস্রাবে ইনফেকশন ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাবে।

তাই নিজেকে সতেজ রাখুন।

🍀ইফতারের মেনুতে টক দই রাখতে পারেন। টক দই হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। পাকস্থলীর জ্বালা পোড়া ভাব কমায়।এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

🍀ইফতারে ৩/৪টি খেজুর খেয়ে পানি পান করুন। খেজুরের সুক্রোজ পানির সাথে মিশে তা প্রান শক্তি এনে দেবে। 

🍀ইফতারে ভাজা ছোলার পরিবর্তে কাঁচা  ছোলা গ্রহন করুন।কাঁচাছোলা রক্তের কোলেস্ঠেরল দূর করতে ও কোস্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।

 🍀রোজা রাখার ফলে শর্করার মাত্রা কমে গেলে যাদের মাথাব্যাথা বা মাথা ঘোরা জনিত সমস্যা দেখা দেয় তারা ৩/৪টি খেজুর দিয়ে ইফতার করুন। এটি দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা পুরন করতে সহায়তা করবে।

🍀খেজুর বা খোরমা অবশ্যই খাবেন। এতে আছে শর্করা, চিনি, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, কপার, সালফার, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন, ক্লোরিন ফাইবার, যা সারা দিন রোজা রাখার পর খুবই দরকারি।


🍀চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিলে ভালো হয়। এটা খুব তাড়াতাড়ি রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ওজন বাড়ায়। তাই যথাসম্ভব চিনি ও চিনিযুক্ত খাবার কম খান।


🍀সবজি ও ফল খেতে হবে নিয়মমতো। তা না হলে এই সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্য হবে নিত্যসঙ্গী।


🍀এই গরমে অন্তত ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি না খেলে হজমের সমস্যা হবে। ইফতারের পর থেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত একটু পরপর পানি খেতে হবে।


🍀সুষম খাবার খেতে হবে। আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন, দুধ, দই, মিনারেল, আঁশ ইত্যাদি খেতে হবে নিয়মমতো।


🍀আঁশসমৃদ্ধ খাবার যেমন লাল আটা, বাদাম, বিনস, শস্য, ছোলা, ডাল ইত্যাদি খেতে হবে। এগুলো হজম হয় আস্তে আস্তে, তাই অনেক সময় পর ক্ষুধা লাগে। রক্তে চিনির পরিমাণ তাড়াতাড়ি বাড়ে না।


🍀কাচা ছোলা খাওয়া ভালো। তবে তেল দিয়ে ভুনা করে খাওয়া ঠিক না।


🍀চা, কফির মাত্রা কমাতে হবে। তা না হলে পানিশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ঘুমের সমস্যা হতে পারে।


🍀সারাদিন রোজা রাখার পর ক্যাফেইন যুক্ত কোমল পানিয় চা-কফি না খাওয়াই ভালো।কেননা এ ধরনের পানিয় শরীর থেকে লবন ও পানি বের করে দেয়।


🍀সাহরিতেও খুব বেশি খাওয়া বা সাহরি না খাওয়াও ঠিক না। সাহরি না খেলে শরীর দুর্বল হয়ে যাবে।


🍀অনেকেই সেহরির সময় উঠে ভাত খেতে পারেন না বা খান না।না খেয়ে রোজা রাখার চাইতে অন্তত সহজ পাচ্য খাবার দই চিড়া খেয়ে রোজা রাখতে পারেন। এতে ডায়াবেটিস এর ও কোন সমস্যা হবে না।


🍀সেহরি খাবার পর ছোট এলাচির ২/৩পিস দানা চিবিয়ে খেয়ে নিন।তাতে আপনার মুখের ভিতর শুকিয়ে যাবে না এবং সারাদিন পিপাসা লাগবে না ইনশাআল্লাহ। 


🍀ভাজা ও মশলাদার খাবার যেমন ভাজা ছোলা, পেঁয়াজ, রানার, কাটলেট, হালিম, বিরিয়ানি ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন।


🍀সেহরিতে দুধ ও পটাসিয়াম যুক্ত খাবার খান। কারন পটাসিয়াম শরীরের পানি ধরে রাখে।ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে।এবং দূর্বলতা কমায়।দুধ সারাদিনের পুস্টি যোগায়।এবং হজম হতে সময় লাগে বলে ক্ষুধা কম লাগে। পটাসিয়াম যুক্ত খাবার হতে পারে খেজুর শাক কলা ইত্যাদি। 


🍀দিনে অন্তত একবার মাংসের পরিবর্তে মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন।


🍀সহজপাচ্য খাবার, ঠান্ডা খাবার যেমন দই, চিড়া খাবেন। তাহলে সারা দিন রোজা রাখা নাজুক পাকস্থলী ঠিকমতো খাবার হজম করতে পারবে।


🍀কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ইসবগুল খেতে পারেন।


🍀খুব দুর্বল বোধ করলে ইফতারের পর ডাবের পানি বা স্যালাইন দ্রবণ খেতে পারেন।


🍀কোমল পানীয় ঘুমের সমস্যা, অ্যাসিডিটি, আলসার ইত্যাদির কারন হতে পারে তাই রোজাতে এগুলো বর্জন করা হিতকর।


সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন। ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন