ভয়ংকর ভুতের গল্প (ভয়ংকর হাভেলি (পর্ব-৩) )

ভয়ংকর ভুতের গল্প  (ভয়ংকর হাভেলি (পর্ব-৩) )



তৃতীয় পর্ব,,,

তাসলিমা আর আমান একসাথে হাভেলিতে প্রবেশ করে। প্রধান ফটকটি খুলতেই ক্যাচক্যাচ শব্দ হয়। তারা দুইজন ফোনের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে।।


হাভেলির ভেতরে চোখ বুলিয়ে নিয়ে দুজনেই ঢুক গিলে তারপর আস্তে করে ডাকে আব্দুল্লাহ??


কোনো সাড়া নেই,, আবার ডাকে আব্দুল্লাহ?? আমান ফিসফিস করে ডাকে লিজামনি?? এই লিজামনি??


কিন্তু কারো কোনো সাড়া নেই।।


আমান আর তাসলিমা দুরুদুরু বুকে দুতলায় উঠে যায়। হঠাৎ চোখের সামনে দুতলার পেইন্টিংটা পরতেই আমান হুউউউউউউ বলে চিতকার করে উঠে..!! 


তাসলিমা আমানের মাথায় গাট্টা মেরে বলে অজভুত (সিলেটি ভাষা) কোথাকার!!


আমান জামা ঠিক করে মুখে গম্ভীর ভাব ফুটিয়ে আনে কিন্তু বুকের ভেতর হাতি পারা মারছে...,,!!😵‍💫


তাসলিমা চিত্রটি মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখছিলো তখনই পাশের কক্ষ থেকে কান্নার শব্দ ভেসে আসতে লাগলো।।


আমান ভয়ে তাসলিমার পিছে গিয়ে দাঁড়ায়। তাসলিমা ধির পায়ে সেই কক্ষের দিকে এগিয়ে যায়। তারা গিয়ে থামে কক্ষের সামনে। তারা দেখে টিভিতে যেমন ঝিরঝির করে চিত্র ভাসে ঠিক তেমনই এক চিত্র ভেসে উঠেছে জানালার পর্দায়।।


চিত্রে ভেসে উঠেছে এক রমনী হাটু মুড়ে বসে কান্না করছে। কান্নার তালে তালে তার শরীর দুলছে। হঠাৎ সেখানে আবির্ভাব হয় এক পুরুষ। দেখেই মনে হচ্ছে বেশ শক্ত সামর্থ,, হাট্টাখাট্টা,,,।।


এসেই সে কোমরের বেল্ট খুলে রমনীর পিঠে সপাত সপাত করে বারি দিতে থাকে। রমনীর কান্নার গতি বেরে যায়। কান্নার সাথে মুখ দিয়ে গোঙানোর শব্দ বেরুচ্ছে। সে পরে গিয়ে মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে কিন্তু লোকটা পেটানো বন্ধ করছেনা।


একসময় রমনীর ছটফটানি কমে আসতে লাগে,, তার নিশ্বাস ভারি হতে নেয়,, বুক ধুকপুকানির শব্দ এতো দূর থেকেও কানে বাজছে তাসলিমার।


লোকটা এবার দেয়াল থেকে টিভি ছুটিয়ে আনে,, তারপর ভারি টিভিটা দিয়ে রমনীর শরীরে আঘাত করতে থাকতে,, রমনীটি আবারও চিতকার করতে থাকে,, তার চিতকারে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে।।


লোকটার থামাথামি নেই সে অনবরত আঘাত করেই যাচ্ছে তো করেই যাচ্ছে। এক সময় রমনীর শরীর অসার হয়ে আসে,, কণ্ঠস্বর নীল হয়ে যায়।।


লোকটা এবার উঠে দাঁড়িয়ে রমনীর নিস্তেজ শরীরে লাথি দিতে থাকে। অনেকক্ষণ লাথি দেওয়ার পরও যখন রমনীর মুখ দিয়ে আওয়াজ বের হয়না। তখন সে টেবিলের ড্রয়ার খুলে চাপাতি বেড় করে আনে।


তারপর চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রমনীর মাথা শরীর থেকে আলাদা করে। সেই মাথা হাতে নিয়ে রমনীর কপালে চুমু খায় আর অস্পষ্ট গলায় বলে "প্রেয়সী চিরবিচ্ছেদ তবে হলো আজ!!"


এবার লোকটা উঠে দাঁড়ায় তারপর রমনীর মাথাটা ফুটবলের নেয় পায়ে বাজিয়ে সুট দিতেই সেটা তাসলিমাদের দিকে যায়,,,।।


এবার তাসলিমা চিতকার দিয়ে উঠে,,,।। 


তার চিতকার শুনে পুরুষ অবয়বটি তার পিছু নেয়। সে দিকবিদিকশুন্য হয়ে ছুটে চলেছে তার হুশ নেই,, চোখের সামনে এমন নৃশংস হত্যাযজ্ঞ দেখে কোনো সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ কি ঠিক থাকে??


তাসলিমার ও হয়েছে তাই,, সে দৌড়াতে দৌড়াতে নিচ তলায় রান্নাঘরে লুকিয়ে পরে। সে লুকিয়েছে বেসিনের নিচের ক্যাবিনেটে।


পুরো নিস্তব্ধতায় ঘিরে রেখেছে চারিদিক। তাসলিমার বুক ধুকপুকানি শুরু করে দিয়েছে। হঠাৎ সে আমানের চিতকার শুনতে পায় আমার চিতকার করছে,, যেন কেউ তার উপর আক্রমণ করেছে। ধস্তাধস্তি আর চিতকারের শব্দ শুনে তাসলিমার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পরছে!!


হঠাৎ আমান জোরে একটা চিতকার দিতেই ধপাশ করে কিছু নিচে পরে যাওয়ার শব্দ হয়। তাসলিমা মুখ চেপে ধরে যাতে কান্নার শব্দ না হয়।


আবারও চারিদিক নিস্তব্ধতায় ছেয়ে যায়। তাসলিমা ভয়ে কাপছে আর দোয়া দুরুদ পরছে। তখনই রান্নাঘরে  ঘটঘট পায়ে কেউ প্রবেশ করে..!!


তাসলিমার অন্তরআত্মা কেঁপে উঠে,, সে ভয়ে ভয়ে নিজেকে যথাসম্ভব শান্ত রাখার চেষ্টা করছে। কিছুক্ষণ পায়চারি করে আগন্তুক রান্নাঘর থেকে গমন করেন।


তাসলিমা মুখ চেপে কান্না করছে আর ভাবছে সে কি ভুল করেছে। কেন যে সে আব্দুল্লাহ কে ভয় দেখানোর জন্য এখানে প্লান করে পাঠালো!!


তাসলিমা মনে মনে বলে;; আমার জন্য আমার জন্য আমান ভাইয়া আজ,,, আল্লাহ...!! আব্দুল্লাহ কি ঠিক আছে?? আর লিজামনি?? কোথায়?? আমি সবাইকে বিপদে ফেলেছি আমার আব্দুল্লাহ তার কিছু হলে আমি মরে যাবো বলে আবারও নীরবে কাঁদতে থাকে...!!


দৃশ্য চলে যায় এক ঘন্টা আগের সময়ে ...!


প্রশ্ন করে উত্তরের আশায় আমানের দিকে তাকিয়ে আছে তাসলিমা।।


আমান বলে; আমি আসার আগে তাকে বলেছি হাভেলিতে থাকতে,, আসার পর তো কি হয়ে গেছে কিছুই বুঝছি নাহ।। আমার মনে হয়কি আব্দুল্লাহ হয়তো হাভেলিতেই আছে আর লিজামনি ও হাভেলির ভেতরেই থাকার কথা। আমার তো আব্দুল্লাহর ভীত মুখের ভিডিও দেখার তর সইছেনা। শা*লা বলে কিনা ভয় পায়না?? এমন ভয়ের কারসাজি সাজিয়েছি আজ তুই ভয়েই আধমরা হয়ে যাবি তোর সব যুক্তি তোর -*- দিয়ে বেরিয়ে যাবে।।


হয়েছে পাকা কথা বন্ধ করো দেখো লিজামনির সাথে  যোগাযোগ করতে পারো কিনা!! এতোক্ষণ হয়ে গেছে আমার মনে হয় আব্দুল্লাহ টের পেয়ে গেছে...!!


আমান বলে ঠিক আছে আমি কল করছি...!!

আমান লিজাকে কয়েকবার কল দেয় কিন্তু ফোনে রিং হচ্ছেনা বন্ধ দেখাচ্ছে। আমান তাসলিমার দিকে তাকিয়ে বলে তার ফোন সুইচড অফ দেখাচ্ছে।।


তাসলিমা রাগে বলে অকর্মার ঢেকি একটা।।

অনেক দেরি হয়ে গেছে আমাদের এখন হাভেলিতে প্রবেশ করা উচিৎ।।


দৃশ্য ফিরে আসে বর্তমানে..!


প্রায় ১০ মিনিট হয়ে গেছে এখন আর কারো নড়চড় নেই। তাসলিমা ভাবে সে কোনো রকমে হাভেলি থেকে বেরিয়ে যাবে তারপর কারো সাহায্য নিয়ে এসে আব্দুল্লাহদের খুঁজবে..!!


তাসলিমা ধিরে ধিরে নিশ্বব্দে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে বাইরে উঁকি দেয়। নাহ কেউ নেই এখানে কোনো রকমে এই হাভেলি থেকে বের হতে পারলেই বাঁচি। সে টিপিটিপি পায়ে এগিয়ে যায়,, হঠাৎ পেছন দিয়ে কেউ দৌড়ে যেতেই তাসলিমা গলা ফাটিয়ে চিতকার করে উঠে..!! 


ভয়ে সে ছুটাছুটি করতে থাকে কিন্তু অন্ধকারে হাভেলির মেইন ফটকই খুঁজে পাচ্ছেনা। ভয়ে তার জান যাবার যোগাড় হয়েছে। সে গিয়ে সিড়ির নিচে লুকিয়েছে। হঠাৎ হাতে চুপচুপে কিছু লাগতে সে নাকের কাছে নিতেই রক্তের গন্ধ পায়। ভয়ে শরীর হিম হয়ে যায় তার,,।। 


এটা কার রক্ত??


হঠাৎ পাশে চোখ পরতেই দেখে লিজামনির খণ্ডবিখণ্ড লাশ সিড়ির নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এবার আর নিজেকে সামলাতে পারেনা চিতকার করে সেখানেই অজ্ঞান হয়ে যায়।।


আমরা দেখতে পাই...!!


আব্দুল্লাহ রাগে গজগজ করছে,,

সে তাসলিমার একটা পা টেনে নিয়ে যাচ্ছে অন্য একটা কক্ষে।। সেখানে নিয়ে তাকে বিছানায় শুইয়ে দেয় তারপর অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকিয়ে বলে কেন তাসলিমা?? কেন?? কেন করলে আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা?? আমার কি দোষ ছিলো?? আমিতো তোমাকে ভালোবেসেছিলাম তাহলে কেন?? তোমার লজ্জা হলোনা আমার বন্ধুর সাথে আমার চোখের আড়ালে?? ছিহহহহ!!


আব্দুল্লাহ চোখ মুছে বলে বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তি একমাত্র মৃত্যুদন্ড,,।।


আমান ও তা ভোগ করেছে,, এবং তুমিও করবে।।


ততক্ষণে তাসলিমার সেন্স ফিরে এসেছে,,


সে দেখে আব্দুল্লাহ তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে,, এতোক্ষণে সে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। উঠে আব্দুল্লাহকে জড়িয়ে ধরে বলে তুমি কোথায় ছিলে?? জানো এখানে অদ্ভুত কিছু হয়েছিলো আর আমান ভাইয়াকে কেউ মেরে ফেলেছে সে আমাকেও মারতে চায়। বলেই ডুকরে কেঁদে উঠলো তাসলিমা...!!


আব্দুল্লাহ তাকে জোরে জড়িয়ে ধরেছে তারপর বলে হ্যাঁ আমি জানি।।


তাসলিমা আব্দুল্লাহর মুখের দিকে তাকায়।। 


আব্দুল্লাহ ভয়ংকর হাসি দিয়ে বলে আমি মেরেছি।।


তাসলিমা অবাক চোখে তাকিয়ে বলে কিন্তু কেন??


কারণ হলি তুই!! তুই আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে আমার বন্ধুর সাথে?? ছিহহহহহহ আমার ভাবতেও লজ্জা লাগছে।


তুমি কি বলছো আব্দুল্লাহ আমি কিছু বুঝতে পারছিনা। তোমার কোথাও ভুল হচ্ছে আমান ভা...!! 


বাকি কথা আর শেষ করতে পারেনা আব্দুল্লাহ টুটি চেপে ধরে তাসলিমার তারপর রাগে ঘরঘর করে বলে তুই কিছুই জানিস না তাইনা?? তাহলে এতো রাতে এখানে কেন এসেছিস?? তোর নাগরের টানে তাইতো?? ওই আমানের সাথে প্লান করে আমাকে মারার জন্য তাইতো?? আর ওই লিজামনি কেও পাঠিয়েছিস যাতে আমাকে ভয় দেখিয়ে দূর্বল করে দেয় তাইতো?? বল, বল চুপ করে আছিস কেন??


তাসলিমা অনেক কষ্টে মুখ দিয়ে আওয়াজ বের করে বলে তুমি ভুল ভাবছো।। 


আব্দুল্লাহ ঠাস করে চড় বসিয়ে দেয় তাসলিমার গালে। চড় খেয়ে তাসলিমা গিয়ে পরে খাটের কুনায়। খাটের কুনায় মাথা লেগে মাথা ফেটে গিয়ে রক্ত বেরুতে থাকে। সে অশ্রুসিক্ত লোচনে আব্দুল্লাহর দিকে তাকিয়ে বলে আমার পুরো কথা টা তো শুনো।।


কিছু শুনতে চাইনা আমি।। তোকে আজ শেষ করেই ছাড়বো বলেই আব্দুল্লাহ পাগলের মতো হাতের কাছে কিছু খুঁজতে থাকে। সে পেয়েও যায় একটা মোটা রড। সেই রড উঠিয়ে মুখে ভয়ংকর রাগ ফুটিয়ে আঘাত করতে থাকে তাসলিমার শরীরে। তাসলিমার শরীর আঘাতে জর্জরিত হতে থাকে।


সে গলা ফাটিয়ে চিতকার করে কিন্তু এই চিতকার এই অন্ধকার হাভেলিতেই গুম হয়ে যায়। তাসলিমা যতক্ষণ চিতকার করে ততক্ষণ আব্দুল্লাহ তাকে রড দিয়ে ঘা বসাতে থাকে।


একসময় তাসলিমার নিথর দেহ মেজেতে পরে রয়।


আব্দুল্লাহ তাও খ্যান্ত হয়না তার রাগে শরীর রি রি করছে। সে টেবিলের ড্রয়ার খুলে একটা ছুরি বের করে আনে। তারপর তা দিয়ে তাসলিমার শরীরে আঘাত করতে থাকে কিন্তু তাসলিমার মুখ দিয়ে আর কোনো শব্দ বের হয়না।


তার নিথর দেহে একের পর এক ঘা বসিয়েই যাচ্ছে আব্দুল্লাহ।।


এভাবে রাত ফুরিয়ে দিনের আলো ফুটতে শুরু করে। আব্দুল্লাহর সারা শরীরে রক্তে মাখামাখি।


তাসলিমার ক্ষতবিক্ষত লাশ মেজেতে পরে আছে। আব্দুল্লাহ হাভেলি থেকে বেরিয়ে পরেছে তার চোখ মুখ অনুভূতি শূন্য। মনে হচ্ছে সে মরে গেছে ভেতর থেকে।


আব্দুল্লাহ হেটে হেটে হাভেলির ত্রিসীমানা পেরিয়ে খোলা রাস্তা দিয়ে এলোমেলো পায়ে হেটে চলেছে..!!


৩ মাস পর...!!


আব্দুল্লাহ হাভেলির বাইরে দাঁড়িয়ে আছে আমানের সাথে। আব্দুল্লাহ আমানের দিকে তাকিয়ে রহস্যময় হাসি দিতেই আমান গিয়ে ফোয়ারার পাশে অজ্ঞান হওয়ার ভান করে পরে থাকে।


আব্দুল্লাহ হাভেলিতে প্রবেশ মাত্রই সে বিদ্যুতের সক খেয়ে নিচে পরে যায়। উঠে দাঁড়িয়ে দুতলায় যায় তারপর দুতলার পেইন্টিংটির দিকে একমনে তাকিয়ে থাকে। হঠাৎ পিছু ফিরে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পাওয়ার ভান ধরে।


(এইসব আগে থেকে লুকিয়ে থাকা আশা দেখে যাচ্ছে। যেমনটি লিজামনি ৩ মাস আগে দেখেছিলো।)


এবার আব্দুল্লাহ আবারও সেই কক্ষের দিকে যায় সেখানে প্রজেক্টরে লাগানো সেই ভয়ংকর বিভৎস হত্যাকাণ্ড টি চালানো হচ্ছে।


আব্দুল্লাহ এসব দেখে ভয় পাওয়ার অভিনয় করে সেই কক্ষে প্রবেশ করে যেটা আগে থেকেই সাজানো ছিলো। তারপর খাটের তলায় লুকিয়ে অভিনয় শুরু করে যা সে প্রতিবারই করে থাকে। অদৃশ্য কিছুর সাথে কথোপকথন তথা খাটের নিচ থেকে উঠে খাটের এক পাশে বসে একা একাই কথা বলে...!!


নিজেকে প্রশ্ন করে নিজেই উত্তর দেয়।।


যেমন ; সে রেগে গিয়ে বলে, আপনাকে মেরে দিবো।।


নুরি খিলখিল করে হাসে তার হাসির শব্দে হাভেলি কেঁপে উঠে,, আকাশের চাঁদ কালো মেঘে ঢেকে যায়,, দূরের একটা শেয়াল হুক্কা হুয়া বলে ডেকে ওঠে..!!


আব্দুল্লাহ নিজ কণ্ঠে বলে উঠে কতোবার মারবেন আমায়?? 


আপনার কাছে যে সহস্রবার মরতেও আমার অমত নেই।।


তখনই আব্দুল্লাহ কথা বন্ধ করে দিয়ে দরজায় তাকায় যেখানে আশা লুকিয়ে শুনছিলো সব।


সে উঠে গিয়ে আশাকে ধরে ফেলে। আশা ভয়ে বলে আব্দুল্লাহ ভাইয়া কি হয়েছে আপনার? আপনি এমন করছেন কেন?? একা একা এসব কি কথা বলছিলেন??


আব্দুল্লাহ আশার চুলের মুঠি শক্ত করে ধরে টেনে নিচে নিয়ে যায়। তারপর তাকে বেধড়ক মারতে থাকে। এক পর্যায়ে বর্বরতার সীমা লঙ্ঘন করে সে চাপাতি দিয়ে আলাদা করে ফেলে আশার লাশ তারপর তা সিড়ির নিচে লুকিয়ে রাখে..!!


আব্দুল্লাহ মুখে ভয়ংকর হাসি ফুটিয়ে বলে ৩০ টা,,,,

এই নিয়ে ৩০ টা হলো নুরি!! হা হা হা বলেই পৈচাশিক হাসি দিয়ে উঠে..!! 


হাসি থামিয়ে মুখে রাগ ফুটিয়ে বলে তারমানে লতা আর আমান ছিহহহহহ!!! 


তারপর ঘাপটি মেরে লতার অপেক্ষা করতে থাকে।


(নুরি আব্দুল্লার প্রথম প্রেমিকা যে তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলো। নুরিকে সে নৃসংশ ভাবে হত্যা করেছিলো সে জন্য। নুরির মৃত্যুর পর আব্দুল্লাহ হয়ে ওঠে সিরিয়াল কিলার। আর আমান হলো আব্দুল্লাহর ক্রাইম পার্টনার। সে ছলে বলে এভাবে বাগিয়ে আনে মেয়েদের তারপর তাদের প্লান মুতাবেক প্রতি ৩ মাস পরপর দুটো মেয়ের খুন করে থাকে।।)


আমরা দেখতে পাই হাভেলির বাইরে আমানের জ্ঞান ফিরাচ্ছে লতা নামের একটা মেয়ে। যে আব্দুল্লাহর বর্তমান প্রেমিকা...!!


তারপর আমান আর আব্দুল্লাহর প্লান মুতাবেক আমান লতাকে নিয়ে হাভেলিতে প্রবেশ করে...!!


চলবে??

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন